অত্যাধুনিক ইন্ট্রা-নাসাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং যুক্তরাজ্যের বায়োমেডিকেল ফার্ম ভিরাকর্প অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এটি তৈরি হচ্ছে।
এই টিকা ভিরাকর্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভাইরোলজিস্ট ড. মোহাম্মদ মুনিরের কাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে বলে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ইনসেপটার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শীতল রাখার প্রচলিত পরিবহন ব্যবহার করেই টিকাটি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। বাড়তি কিছু দরকার হবে না এ কাজে।
এসব প্রসঙ্গে ভিরাকর্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুনির বলেন, সহজে পরিবহন করা যায় এবং নাকের মাধ্যমে দেওয়া যায়-এমন একটি টিকা টিকাদান কর্মসূচির জন্য ভারী অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ইনসেপটার সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের করোনার টিকা বিকাশের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। টিকাটি করোনার ভ্যারিয়েন্টের প্রকৃতি থেকে স্বতন্ত্রভাবে সুরক্ষা দেবে এবং সংক্রমণ আটকে দেবে।
ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আব্দুল মুক্তাদির বলেন, এই টিকা বছরে একক ডোজ ফরম্যাটে ১৮০ মিলিয়ন বা মাল্টি-ডোজ ফরম্যাটে ১ বিলিয়ন ডোজ নাসাল টিকা উৎপাদন করা যাবে।
আর ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনসপটা ভ্যাকসিন লিমিটেড বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের টিকা দেওয়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করে।