লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, সুগন্ধা নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারি ( ভিডিও সহ)

ঝালকাঠি সংবাদ--

ঝালকাঠির গাবখান পয়েন্টে অভিযান ১০ নামে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের আশেপাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।

 এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের তথ্য অনুসারে ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেখনু ভিডিওতে

https://www.youtube.com/watch?v=YqtivS0mEwo&t=14s

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের সঙ্গে দিয়েছেন পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা। সুগন্ধা নদীর পাড়ে লাখো মানুষ জড়ো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই স্বজনের খোঁজে এসেছেন তাদের আহাজারিতে সুগন্ধার তীরের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। একটা লাশ উদ্ধার হলেই স্বজনরা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, প্রিয়জনের খোঁজে।

কোস্টগার্ডের ইফতেখার হোসেন বলেন, রাতে আগুন লেগেছে। সে সময় মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। অনেকেই লাফিয়ে পড়েছেন নদীতে। নদীতে মরদেহ থাকতে পারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।

লঞ্চের যাত্রীরা জানান, আগুন লাগার পর অনেক যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছেন লঞ্চে থাকা যাত্রীরা। তবে প্রাথমিকভাবে সঠিক কত জন যাত্রীর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।

এ দুর্ঘটনা কবল থেকে বরগুনায় ফিরে এসেছে শহরের ক্রোক এলাকার বাসিন্দা বাবা রাজু আহমেদ, ছেলে হৃদয় (১২), মিম(৫), স্ত্রী মমতাজ, শহরের কাঠপট্টি এলাকার ছেলে মীর ফাইয়াজ, বন্ধু আশিক আহমেদ, রাইসুল আকরাম।

বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া সিকদার বাড়ির রিনা বেগম (৩৮) ও তার মেয়ে লিমা (১৪) নিখোঁজ রয়েছে। তবে লিমা বেগমের ছেলে কাউনিয়া এমদাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র রনি (১৫) লঞ্চ থেকে লাভ দিয়ে পড়ে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। বর্তমানে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও বরগুনার অধিকাংশ যাত্রীই বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি, বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ী, বামনা উপজেলার রামনা, পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া সহ বিভিন্ন এলাকার। এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।

বর্তমানে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালমান রয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় রয়েছেন ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট এর ঝালকাঠি যুব সদস্য, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post